|
ব্রম্ভা মুহূর্ত একটি সংস্কৃত শব্দ যা দুটি শব্দ মিলে তৈরী হয়েছে “ব্রম্ভা” এবং “মুহূর্ত” । “ব্রম্ভা” র অর্থ হল পরম তত্ব অর্থাৎ পরমাত্মা আর “মুহূর্ত” অর্থাৎ অবধি। রাত্রির শেষ পহরে আর সূর্য্যদয় হওয়ার ঠিক আগের সময় কে ব্রম্ভা মুহূর্ত বলা হয়। হিন্দু মান্যতা অনুসারে এই সময়কে সবথেকে ভালো সময় মানা হয়ে থাকে। পুরাতন কালে ঋষি মুনি ঈশ্বরের ধ্যান করার জন্য এই সময়টিকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানতেন। মানা হয়ে থাকে যে এই সময় পরিবেশ সকারত্মক বা পজেটিভ উর্জাতে বাস করে। এই সময়ে মানুষ দ্বারা করণীয় সব কাজে সিদ্ধি মিলে সেইজন্য এই সময়ে যোগ/ধ্যান আর আধ্যাধিক কাজ বা গতিবিধি করার ফলে অনুকূল পরিণাম মিলে।
ব্রম্ভা মুহূর্ত 48 মিনিটের সেটি শুভ সময় বা কাল হয়ে থাকে, যা সূর্য্যদয়ের মোটামুটি 1 ঘন্টা 36 মিনিট আগে শুরু হয়ে থাকে, আর সূর্য্যদয় থেকে 48 মিনিট পূর্বে বা আগে সমাপ্ত হয়ে থাকে। এরকম মানা হয়ে থাকে যে এই সময় আমাদের মন আর শরীর সঠিক নিয়ন্ত্রণ আর তালে থাকে। যদি আপনি এই সময়ের লাভ উপভোগ করতে চান, তাহলে এই সহজ উপায়ের উপয়োগ অবশ্যই করুন।
ব্রম্ভা মুহূর্তে উঠার জন্য করুন এই উপায়
- রাতে শীঘ্র ঘুমান: এই সময় উঠার জন্য আপনার শরীর কে শীঘ্র শোবার বা ঘুমানোর জন্য ট্রেন বা অভ্যেস করুন। প্রতিদিন রাতে সাত থেকে নয় ঘন্টা মাঝে শোবার বা ঘুমানোর লক্ষণ নির্ধারিত করা উচিত। এরফলে আপনার উঠতে সাহায্যকারী হবে।
- এলার্ম লাগান: ব্রম্ভা মুহূর্ত থেকে 15 মিনিট আগে এলার্ম লাগান। এরফলে আপনি ঘুম থেকে তুরন্ত উঠতে পারবেন। এক-দুই দিন আপনার কিছুটা অলসতা বা ক্লান্তি অনুভব হতে পারে কিন্তু তারপরে উর্যাবান অনুভব করতে লাগবেন আর তারপরে ধীরে-ধীরে আপনার অভ্যেস হয়ে যাবে।
- রাতে হালকা খাবার খান: এই সময় উঠার জন্য এই কথাটি ধ্যান রাখবেন যে রাতে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটির বদলে খিচুড়ি বা হালকা খাবার খাওয়া শুরু করুন। এরফলে পেট পরিষ্কার থাকে আর উঠতে সমস্যাও হয় না।
- যোগ/ধ্যান করুন: যে কোন ধরণের আধ্যাধিক গতিবিধি করার জন্য এই সময়টি আদর্শ সময় হয়ে থাকে। এই সময় ধ্যান করার ফলে ব্যাক্তি জ্ঞান, শক্তি, সৌন্দর্য্য আর ভালো স্বাস্থ্য প্রাপ্ত করে থাকে। এটির জন্য খোলামেলা জায়গা বা ঘরে পরিষ্কার কোণাতে সুগন্ধিত মোমবাতি জ্বালিয়ে যোগ ধ্যান করুন।
ব্রম্ভা মুহূর্তে ভুল করেও করবেন না এই কার্য
- কিছু মানুষ সকালে উঠতেই বিছানাতে চা-নাস্তা করতে লাগেন, এই অভ্যেস স্বাস্থ্যের জন্য খুব খারাপ হয়ে থাকে। এই সময় ভুলেও ভোজন করা উচিত নয়। এটির কারণে আপনাকে রোগে ঘিরে ফেলতে পারে।
- এই সময়ে যে কোন ভারী গতিবিধি করা থেকে বিরত থাকুন আর মন ধ্যানের দিকে লাগানো উচিত।
- এই সময় ইলেক্ট্রনিক উপকরণ যেমন টেলভিশন, কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কেননা এই সব উপকরণ ধ্যান ভঙ্গ করতে পারে।
- এই সময় বেশি চেঁচামেচি বা আওয়াজ করা থেকে বিরত থাকুন কেননা এরকম করার ফলে আপনার ধ্যান লক্ষ্য থেকে সরে যেতে পারে। সর্বোত্তম পরিণামের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বানিয়ে রাখুন।